রাজবাড়ী যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সামসুল আলম বাবলু হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও এই মামলা থেকে চারজনকে খালাশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এ রায় দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর  মীর এনাম আলী বাচ্চু ও স্থানীয় সন্ত্রাসী সানোয়ার রহমান জকি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সানোয়ার রহমান জকি পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে ইয়াকুব, বাবলু মিয়ার ছেলে রানা, কালুখালী উপজেলা হুগলাডাঙ্গী এলাকার আকমল বিশ্বাসের ছেলে রশিদ, রাজবাড়ী পৌরসভার আজিজ দেওয়ানের ছেলে শাহিন ও বেড়াডাঙ্গা এলাকার আজিজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন বাপ্পি। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে রানা ও ফরহাদ হোসেন বাপ্পি পলাতক রয়েছেন।

রায়ে রাজবাড়ী পৌরসভা এলাকার খাইরুল, উজ্জল, আরিফ মন্ডল ও আরিফ মিয়া নামের ৪ আসামির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে গঠিত অভিযোগের দায় থেকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ বলেন, ২০১২ সালে ২৪ আগস্ট রাতে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক বাবলুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ও ১৯ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন হায়দার বলেন, রায়ের সময় ৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০১২ সালের ২৪ আগস্ট গভীর রাতে রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর এলাকায় সাংবাদিক সানাউল্লাহ শেখের বাড়ীর সামান থেকে বাড়ী ফেরার পথে যুবদলের আহ্বায়ক সামসুল আলম বাবলুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর নিহতের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম শহিদ বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন।

মীর সামসুজ্জামান/আরকে