রংপুরের পীরগঞ্জে চুরির অপবাদ দিয়ে রিফাত মণ্ডল (১২) নামে এক শিশুকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- স্কুলশিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাজু মাস্টার (৫৩), আনিসুল ইসলাম ওরফে আলম (৪৯) ও মো. তাজুল ইসলাম (৪২)। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত শিক্ষকসহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের শিবপুর (লতারপাড়া) গ্রামে বাইসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শিশু রিফাত মণ্ডলকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া রিফাত মণ্ডল কুমেদপুর ইউনিয়নের মরারপাড়া (নতারপাড়া) গ্রামের মোখলেছার রহমান দুলার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ নভেম্বর স্কুলশিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে সাজু মাস্টারের শ্বশুরের একটি বাইসাইকেল হারিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন শিশু রিফাত মণ্ডলকে বাইসাইকেল চুরির অপবাদে একটি চাতালে আটকে রাখে শিক্ষক সাজুসহ তার লোকজন। পরে সেখানে জনৈক ফুল মিয়ার বাড়ির সামনে নিয়ে এসে রিফাতের হাত-পা বেঁধে জনসম্মুখে অমানবিক নির্যাতন করে শিক্ষক সাজুসহ তার সহযোগীরা।

খবর পেয়ে রিফাত মণ্ডলের বাবা পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শর্তসাপেক্ষে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে তার জিম্মায় ছেলেকে নিয়ে যান। সে সময় কে বা কারা হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করার পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে শিশু নির্যাতনকারী তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-ডি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ছয়জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ