পটুয়াখালীতে দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব
পটুয়াখালীতে দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর শেখ রাসেল শিশু পার্কে দখিণের কবিয়াল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে যুগপূর্তি ও দিনব্যাপী নবান্ন উৎসব শুরু হয়। এতে পিঠা উৎসব, দেশাত্মবোধক গান, নাচ, রম্য কৌতুক ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।
নবান্ন উৎসবে অংশ নেওয়া ইডেন মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা আফজাল বলেন, নবান্ন উৎসবে এর আগে আমরা ঢাকায় অংশগ্রহণ করেছি। জেলা পর্যায়ে আমি এই প্রথম আজকে অংশগ্রহণ করেছি পটুয়াখালীতে। এই আয়োজন আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে সমাজে যে বিপত্তি রয়েছে, যে সংঘাত রয়েছে এগুলো কমানোর জন্য আমাদের এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খুবই জরুরি। আমরা যত বেশি এই ধরনের অনুষ্ঠানে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারব আমরা তত সমৃদ্ধ হব।
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নবান্ন। এটিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী দখিণের কবিয়াল আজকের যে আয়োজনটি করেছে। আমি মনে করি এটি আমাদের আবার শিকড়ের কাছে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশের আবহমান যে সংস্কৃতি রয়েছে সেটি একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য বহন করে। পৃথিবীর অনেক জাতি রয়েছে তাদের নিজস্ব কোনো সংস্কৃতি নেই। কিন্তু আমরা সেই ক্ষেত্রে অনেক পরিপূর্ণ।
বিজ্ঞাপন
দখিণের কবিয়াল সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক বলেন, নবান্ন আদি এবং অকৃত্রিম উৎসব। যেখানে সব ধর্মের এবং বর্ণের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকে। এখানে পিঠা-পুলি থাকে, লোকো চালের ভাত থাকে, সেই আয়োজন আমরা গত আট বছর ধরে করে আসছি। এই উৎসব করতে গিয়ে আমাদের অনেক বাধা-বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে এবং সেগুলো উপেক্ষা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়।
মাহমুদ হাসান রায়হান/আরএআর