নারায়ণগঞ্জে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেছে জার্মান সরকার ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের সমন্বিত প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন জার্মান সরকারের বাংলাদেশ ডেস্কের প্রতিনিধি মি. মারিও জিওরি।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলাধীন আজমেরীবাগ এরাকার নিউক্লিয়াস স্কুল ও নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন করেন তারা।

কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসুচি পর্যবেক্ষণে আসা প্রতিনিধি দল নিউক্লিয়াস স্কুলে শিশুদের টিকাপ্রদান কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হসপাতালের টিকা প্রদানের বুথগুলো পরিদর্শন করেন। 

পরিদর্শন শেষে আগত প্রতিনিধিরা টিকাপ্রদানকারী, স্বেচ্ছাসেবক, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময়  জার্মান সরকারের প্রতিনিধি দল টিকাপ্রদান কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে সন্তোষ প্রকাশ করে এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বান জানান।

জর্মান অ্যাম্বাসির ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান সরকারের বাংলাদেশ ডেস্কের প্রতিনিধি মারিও জিওরি, জার্মান অ্যাম্বাসির পলিটিক্যাল, প্রেস অ্যান্ড কালচারাল সেকশনের হান্না স্কিমফ, ডেপুটি হেড অব মিশন জেন-রোল্ড জেনোস্কি, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান মায়া ভেনডেন্যান্ট, প্রধান রিসোর্স পার্সন এলিসা কর্টেস গিল, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ মাহমুদ, জাতীয় ইপিআই বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা রহমান।

নারায়ণগঞ্জে টিকাদান কর্মসুচি পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের পক্ষে গণমাধ্যমে কথা বলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান। 

এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জার্মান সরকার বাংলাদেশের ৪৪টি জেলায় ৫-১১ বছরের শিশুদের জন্য ১.৯ মিলিয়ন টিকা প্রদান করে সহায়তা করেছেন। নারায়ণগঞ্জে প্রায় শতভাগ শিশুকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। আজকে পর্যবেক্ষণে আসা প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

এছাড়াও হাসপাতালে টিকাপ্রদান কর্মসূচি পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলী, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শেখ ফরহাদ প্রমুখ।

আবির শিকদার/এমএএস