ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বর্ণিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আজাদ মোল্লার (৩৭) বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগের তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু আহাদ মিয়া তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তিনি জানান, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

তিন সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের (এটিইও) মো. আজিজুর রহমান খানকে প্রধান করা হয়েছে। এটিও টিপু সুলতান ও শরীফ বসিরকে কমিটির অন্য দুই সদস্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আজাদ মোল্লা এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণকে (১৫) বলাৎকার করার চেষ্টা করে। ওই সময় ওই তরুণ ক্ষিপ্ত হয়ে আজাদ মোল্লার পুরুষাঙ্গ কামড়িয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেন। পরে ওই দপ্তরিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। তিনি এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ ঘোষাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির ফলাফল নিয়ে আমাকে জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন পেলে ওই দপ্তরির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘বলাৎকারের চেষ্টা, ক্ষত-বিক্ষত পুরুষাঙ্গ নিয়ে হাসপাতালে দপ্তরি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়

জহির হোসেন/আরকে