অবৈধভাবে আড়াই হাজার টন ধান মজুত করার ঘটনায় মামলা
বগুড়ায় অবৈধভাবে আড়াই হাজার টন ধান মজুত করায় মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালকে প্রধান করে মামলা করেছে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা কামাল (৭২) ও তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের অটোরাইস মিল স্থাপনের কাজ চলমান আছে। সেখানে একাধিক ট্রাকে অবৈধভাবে ধান মজুত করা হচ্ছে এমন খবর আসে আমাদের কাছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুটি গুদাম ও দুই খোলা জায়গায় ধান মজুতের সন্ধানসহ একাধিক ট্রাকে ৩৪ হাজার ২৫০ বস্তায় ২ হাজার ৫৬৮ টন ধান পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম রেজার নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি দল মজুত করা ধান জব্দ করে।
বিজ্ঞাপন
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের খাদ্যশস্য বা মিল লাইসেন্স ছিল না। কালোবাজারির উদ্দেশ্যে দেশে কৃত্রিমভাবে ধান ও চালের সংকট তৈরির মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য তারা কাজটি সংগঠিত করেছিল।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অবৈধভাবে মজুত রাখা ধান ইতোমধ্যে জব্দ করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমগীর হোসেন/এসপি