কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সিসিইউতে পলেস্তারা খসে পড়ে চিকিৎসক ও নার্স আহত

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ছাদের সিলিংয়ের ঢালাই ও পলেস্তারা খসে পড়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্স আহত হয়েছেন। বুধবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সিসিইউ নার্সদের রুমে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে সিলিংয়ে চোখ রেখে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আহতরা হলেন— ইন্টার্ন চিকিৎসক ইফফাত জাহান ও জ্যেষ্ঠ নার্স মৌসুমী আক্তার। ইফফাত জাহান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। পলেস্তারা পড়ে নার্স মৌসুমীর মাথা, হাত ও পেটে আঘাত লেগেছে। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নার্স মৌসুমী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে খুবই ভয় লাগছে। ওপরের দিকে চোখ রেখে কাজ করতে হচ্ছে। কেননা এখনো কিছু ঢালাই ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় আছে। যেকোনো সময় পলেস্তারা খসে পড়তে পারে।’

সিসিইউ নার্সদের ইনচার্জ রহিমা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যা ছয়টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। আমি তখন নামাজ পড়ছিলাম। পরে কক্ষে গিয়ে দেখতে পাই পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে আছে। এ সময় চেয়ারে বসে থাকা চিকিৎসক ও নার্স আহত হন। দ্রুত জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক ইফফাত জাহান ও জ্যেষ্ঠ নার্স মৌসুমী আক্তার দায়িত্বরত ছিলেন।’

চেয়ারে বসে থাকা চিকিৎসক ও নার্সের ওপর খসে পড়েছে পলেস্তারা

আহত নার্স মৌসুমী বলেন, ‘আমার মাথায়, হাতে ও পেটের ওপর পলেস্তারার টুকরা খসে পড়েছে। মাথার একটা জায়গায় ফুলে গেছে। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।’

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাসীমুল বারী বলেন, ‘নার্সকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে ওই কার্যালয় সংস্কার করা হবে।’

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ১৬ শয্যার করোনারি কেয়ার ইউনিট। ইউনিটের প্রবেশ মুখে নার্সদের কার্যালয়। সেখানে চিকিৎসক ও নার্সরা কাজ করেন।

রাজু আহমেদ/এমএসআর