অভয়নগরে ভেজাল মধুসহ আটক ৩

যশোরে চিনি ও রাসায়নিক মিশিয়ে ভেজাল মধু তৈরির দুটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। অভিযানে পাঁচ মণ ভেজাল মধু ও বিপুল পরিমাণ নকল মধু তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (২৩ ডিসেম্বর) বুধবার যশোর অভয়নগর থানা পুলিশের টিম উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা গ্রামে কারখানাটি দুটিতে অভিযান চালায়।

অভিযানে দুই কারখানার মালিকসহ তিনজনকে আটক করা হয়। সেই সাথে সিলগালা করা হয় কারখানা দুটি।

আটকরা হলেন—  জিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইয়াকুব্বার সরদারের ছেলে কারখানা মালিক জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), একই গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে কারখানা মালিক রেজাউল ইসলাম (৩৪) ও তাদের সহযোগী প্রেমবাগ ইউনিয়নের গাবখালী গ্রামের হাসান আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২১)।

অভিযানে নেতৃত্বে থাকা অভয়নগর থানার এসআই গৌতম কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতার সহযোগিতায় গ্রামের জাহাঙ্গীর ও রেজাউল দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে ভেজাল মধু তৈরি করে আসছে।

যে মধু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কারখানাগুলোতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় প্রায় সাড়ে ৪ মণ ভেজাল মধু, একটি ডিজিটাল স্কেল, মধু তৈরির উপকরণ হিসেবে চিনি, চিনির পাঁচটি খালি বস্তা, পানি ও নষ্ট মৌচাক।

পরে রেজাউল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় প্রায় আধামণ ভেজাল মধু। ভেজাল মধু ও জব্দ মালামালসহ তিনজকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

আটক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজ বাড়িতে কয়েক বছর ধরে মধু তৈরির ব্যবসা করছি। মধু তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, চিনি, ফিটকারি, পানি ও নষ্ট মৌচাকের মিশ্রণের পর তা আগুনে জ্বালানো হয়। এরপর তৈরি হয় মধু। এক কেজি মধু তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১০০ টাকা। তৈরিকৃত মধু প্রতিকেজি পাইকারি বিক্রি হয় ৩০০ টাকা।

এমএসআর