মিজানুর রহমান বাদল

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসাইন আহমেদ।

তিনি বলেন, চার মামলায় মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক।

এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা শহর থেকে মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পৌরসভা ভবনে হামলা-ভাঙচুর, গুলি ও নাশকতাসহ চার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

এতে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।

৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগের কর্মী আলাউদ্দিন নিহত হন।

এএম