শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানসহ নয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুল-সংলগ্ন সাতমাথায় ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধুনটে উপজেলা ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য রওনা হন। পথিমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের তাকবীর ইসলামের মোটরসাইকেলের সঙ্গে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফের এক কর্মীর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। তখন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায় বিষয়টি সমাধান করে দেন।

সমাবেশ শেষে সাতমাথায় জিলা স্কুল-সংলগ্ন বিলবোর্ড এলাকায় মোটরসাইকেলে ধাক্কার ঘটনায় তাকবীর ইসলাম খান ও আব্দুর রউফের কর্মীরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খান ছুরিকাঘাতে আহত হন। এ সময় তার কর্মী শান্ত, ইমন, শাফিন ও হাবিব আহত হয়। অপরদিকে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ পক্ষের কর্মী দুলাল, জাহিদ হাসান, সানজিদ, রাজন আহত হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, নিজেদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা সাংগঠনিকভাবে সমাধান করব।

মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আজিজ মণ্ডল জানান, ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহতরা বর্তমান বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামাল বলেন, আহত সকলেই আশঙ্কামুক্ত। তবে তাকবীরের শরীরে কয়েকটি ছুরির আঘাত ও দুলালের মাথায় আঘাত রয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন নবাব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ হাসপাতালে তাদের খোঁজখবর নেন।

সাখাওয়াত হোসেন জনি/এমএসআর