রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে লোকবল সংকট রয়েছে। রেলসেবা ত্বরান্বিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে রাজশাহী রেলভবন ও রেলওয়ে স্টেশনের পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। 

রেলমন্ত্রী বলেন, বিগত সরকারের আমলে রেলসেবা ভেঙে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলসেবাকে ভগ্নদশা থেকে উদ্ধার করে রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। এরই অংশ হিসেবে রেলব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রেলওয়ে। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে রেলব্যবস্থার সংস্কারের কাজে হাত দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রেলের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা হয়। ১৯৭৩ সালে রেলের জনবল ছিল ৬৮ হাজার, এখন সেখানে কমে হয়েছে ২৫ হাজার।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। রাজশাহীতে বহুতল রেলভবন নির্মাণ হবে। আমরা রেলকে একটি নিয়মতান্ত্রিক অবস্থায় আনতে; যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে রেলের নিজস্ব সক্ষমতা তৈরি করতে চাই।

নূরুল ইসলাম সুজন, রেলমন্ত্রী

রাজশাহী-আব্দুলপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন এবং সমস্ত রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরের কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলার সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ থাকবে। ঈশ্বরদী-জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন করা হবে। উত্তরাঞ্চল থেকে কাঁচামাল যাতে অল্প সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে সহজে বাজারজাত করা যায়; সেই পরিকল্পনাও সরকারের আছে।

রাজশাহী রেলভবন ও রেলওয়ে স্টেশনের পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। রেল আধুনিকায়নের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও ভালো হবে। নেপাল-ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম) অজয় কুমার পোদ্দার ও রাজশাহী রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল করিম।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম