টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে আজ।

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ইজতেমায় অংশ নিতে ইচ্ছুক মানুষের ঢল নেমেছে। সবাই আখেরি মোনাজাতের শরিক গতে যে যেভাবে পারছেন রওনা দিচ্ছেন।

আখেরি মোনাজাতের অংশ নিতে নরসিংদী থেকে এসেছেন রমজান মিয়া। তিনি জানান, রাত তিনটায় দুই বন্ধু নরসিংদী থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। পরিচিত একটি ট্রাকে করে গাজীপুর বাইপাসে নেমে তারা হেঁটে, কিছুপথ অটোরিকশায় ইজতেমার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

রাত আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ থেকে রওনা দিয়ে ভোরে গাজীপুর পৌঁছেছেন আবুল হাসেন নামে এক যুবক। সকাল সাতটায় তার সঙ্গে কথা হয় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায়। তিনি জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বাসে করে রওনা হয়েছিলেন মধ্যরাতে। দুইশ টাকা ভাড়ায় তিনি এ পর্যন্ত এসেছেন। বাকী পথ বন্ধ থাকায় বাইপাসে নেমে পড়েছেন। এখন বিকল্প উপায়ে তিনি বাকী পথ যাবেন। এতো কষ্টের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে খুশি করা।

রাজিউল ইসলাম নামের আরেক মুসল্লি জানান, এ কাজে কষ্ট হলেও আনন্দ আছে। 

বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা তো ছিলেনই, শুধু আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে আসতে থাকেন শনিবার থেকেই। বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ ও স্টিমারে করে এসে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। 

রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে শীত, কুয়াশা ও নানা ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখো হন। এরআগে রোববার ভোর থেকে টঙ্গীমুখী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে মানুষজনকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ কিংবা আশপাশের বাসাবাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ কিংবা করিডোর, সড়কের পাশে ফুটপাতে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন। গোটা এলাকা জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

শিহাব/এসএম