অনেক মেয়ে মনে করে পুরুষ মারধরের অধিকার রাখে
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম
দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলছে উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ছয় বছরের শিশু থেকে ৭০ বছরের বৃদ্ধা। এমনকি অনেক মেয়ে মনে করে পুরুষ তাদের মারধরের অধিকার রাখে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মানবাধিকার কমিশনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, সংবাদকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেন, আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায়, সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭০তম অধিবেশনে ১৯৩টি দেশ ২০১৫- ২০৩০ মেয়াদে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট গ্রহণ করে। এতে দারিদ্র্য নিরসন, ক্ষুধামুক্ত, অসমতা দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, নারী ও কন্যাশিশুর ক্ষমতায়ন ইত্যাদির টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের ১৭টি লক্ষ্য এবং ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
মানবাধিকার সবার জন্য সমান; এই লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্যের অবসান ঘটানো, নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, যৌন হয়রানিসহ ঘরে বাইরে সহিংসতার অবসানেও কাজ করছি।
নাছিমা বেগম, চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আজহার হোসেন।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সাবেক এমপি শাহানা রাব্বানী, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন আশরাফুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান, সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক সুচিত্রা রায় ও জেলা ইসলামী অধিদফতরের ডিডি মো. আশরাফ উদ্দিন।
সাইদুর রহমান আসাদ/এএম