কাদের মির্জার ষড়যন্ত্রের শিকার বাদল: পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে বাদলের পরিবারের সদস্যরা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। শুক্রবার (১২ মার্চ) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিজানুর রহমান বাদলের মেজো বোন বকুল।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমার ভাই মিজানুর রহমান বাদল মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি গত তিন মাস ধরে কোম্পানীগঞ্জকে উত্তপ্ত করে রেখেছেন। তিনি সত্যবচনের নামে অপরাজনীতি করে যাচ্ছেন। তার অপকর্মের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
বকুল আরও বলেন, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলের আদেশ অমান্য করে লাইভে এসেছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা করেছেন। এ সময় মিজানুর রহমান বাদলকে নির্দোষ উল্লেখ করে তার মুক্তি দাবি করেন বকুল।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান বাদলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার কাকলি বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ। তিনি সব সময় মানুষের সেবা করেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার স্বামীর মুক্তি চাই।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।
এরপর ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক নিহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকেলে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে তাকে পৌরসভা ভবনে হামলা-ভাঙচুর, গুলি ও নাশকতাসহ চার মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাসিব আল আমিন/আরএআর