এমপি মাহমুদ উস সামাদের জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। 

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করে। 

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ফেঞ্চুগঞ্জের এনজিএফএফ খেলার মাঠে অবতরণ করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মরদেহ ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুর বড়বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রতিবেশীরা।

উল্লেখ্য, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  

২০০৮ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। পরের দুই নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন এই আওয়ামী লীগ নেতা।  

শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর বাড়ি ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুর গ্রামে। তার বাবার নাম দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) জুলহাস আহমদ বলেন, হার্টের সমস্যায় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বাইপাস করিয়েছিলেন। করোনা আক্রান্তের পর প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেল না। 

তুহিন আহমদ/আরএআর