হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল

স্বর্ণ বিক্রি করতে না দেওয়ায় ফাহিমা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর কবজি কেটে দিয়েছেন স্বামী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার লাখাই উপজেলার গুণীপুর গ্রামের ফাহিমা আক্তারের সঙ্গে ২ বছর পূর্বে মাধবপুরের পিয়াইম গ্রামের শামীম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফাহিমা তার বাবার বাড়ি থেকে একাধিকবার টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়েছেন।

সম্প্রতি ফাহিমার স্বর্ণ বিক্রির জন্য স্বামী চাপ প্রয়োগ করেন, কিন্তু ফাহিমা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। শুক্রবার আবারও স্বর্ণ বিক্রির জন্য স্বামী চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বামী ঘরে থাকা দা দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করলে তার কবজি কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপালে ভর্তি করেন।

ফাহিমার বড় ভাই আজিজুর রহমান জানান, আমার বোন ফাহিমা একাধিকার টাকা নিয়ে তার স্বামীকে দিয়েছেন। এরপর আমার বোনের ওপর তার নির্যাতন চলে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও শামীম মিয়া সঠিক পথে আসেননি।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিম জানান, ফাহিমার কবজির আঘাত গুরুতর। তাই বিশেষ পদ্ধতিতে সেই স্থানে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।

মাধবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি। এখন কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোহাম্মদ নূর উদ্দিন/এমএসআর