বিয়ের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চলছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। তবে বিয়েতে বাদ সাধল কনের সহপাঠীরা। তারা ফোন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। পরে ইউএন’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ওই স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুরের নিয়ামতপুর এলাকায়।

জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাড়িতে তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের পার্বতীপুরের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আর এ বাল্যবিবাহের বিষয়টি ইউএনও ফয়সাল রায়হানকে জানান তার সহপাঠী ও স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।

সৈয়দপুর উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরন্নাহার শাহজাদী বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীর অভিভাবককে পরামর্শ দিয়েছি। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে ছাত্রীর অভিভাবকের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান বলেন, ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম। আর ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ তার পরিবার প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তার সহপাঠী ও স্থানীয়রা আমাকে তার বিয়ে বন্ধ করতে অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ওই বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দিই। ওই ছাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেওয়ার জন্য তার অভিভাবককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ