রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় মায়ের বিরুদ্ধে ৬ মাসের শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম আব্দুল্লাহ (৬)। সে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া গ্রামের আল-আমিন ও মিম দম্পতির ছেলে।

এ বিষয়ে বাবা আল-আমিন বলেন, আমার বউ মিমই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার বউ বিভিন্ন সময় আমাকে দেখে নেবে, আমার সন্তানকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিত। গত তিন মাস আগে আমার শিশু সন্তানকে রেখে সে চলে যায়। পরে আমার বিরুদ্ধে সে কুষ্টিয়া কোর্টে গিয়ে যৌতুকের মামলা করে। গত মাসের ২৯ তারিখে কোর্টে মামলাটি মিমাংসা করে মিমকে আবার ফিরিয়ে আনি। এরপর আরও দুই বার সে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেছিল। পথ থেকে ফিরিয়ে এনেছি। আমার পরিবারকে ফাঁসাতে মিম নিজের সন্তানকে হত্যা করেছে।

নিহত শিশুর দাদা হাবিবুর প্রামানিক বলেন, সকালে বাড়ির সবাই বাহাদুরপুর চরে আখ খেতে কাজ করতে যাই। বিকাল ৩টার দিকে সংবাদ পাই আমার নাতি আব্দুল্লাহ মারা গেছে। সকালে আমার নাতিকে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে খেলতে দেখে গেছি। আমার বউমা আমার নাতিকে হত্যা করেছে।

বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সজীব হোসেন বলেন, শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা সঠিক। তবে বিষয়টা রহস্যজনক। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে হত্যার কারণ জানতে থানায় নিয়ে গেছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহাসহ পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং নিহতের বাবা-মা ও দাদা-দাদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন।

পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ নামে একটি শিশু মারা গেছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নাই। পরিবারের মধ্যে রেষারেষি ছিল। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তবে এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা মিম ও তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মীর সামসুজ্জামান/আরকে