ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও দুই পক্ষর কয়েকশ মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ফলে বড় ধরণের সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভাঙ্গার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখরিয়া বাজার থেকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

আহত পঁচজনের মধ্যে চারজনেক ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়েছে।

এলাকাবাসী  জানান, ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি দল তৈরি রয়েছে। এক দলের নেতৃত্ব দেন মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের করিম মাতুব্বর ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মীরাকান্দা আমির হোসেন মীর। এর আগে দুইপক্ষই বিভিন্ন সময়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

তিন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুখুরিয়া মাছ বাজারে মাছ কেনা নিয়ে করিম মাতুব্বরের পক্ষের রুহুল মাতুব্বরের সঙ্গে প্রতিপক্ষ আমির হোসেন মীরের তর্ক হয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর দুইপক্ষের লোক বাজারে জড়ো হয়। এ সময় আমির হোসেনের পক্ষ নিয়ে বাজারের মাংস বিক্রেতারা করিম মাতুব্বরের দুই ছেলে সুলতান মাতুব্বর (৫০) ও ওমর মাতুব্বরকে (৪৫)  কুপিয়ে জখম করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হলে করিম মাতুব্বরের দুই সমর্থক সেকেন মোল্লা (৬২) ও আয়নাল মাতুব্বরকে (৪১) কুপিয়ে জখম করা হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আমিরের সমর্থক মো. মোশাররফকে (৪৪) পিটিয়ে আহত করে করিম মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে দুই পক্ষের শত শত মানুষ দেশীয় নানা ধরণের অস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এ সময় আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সুলতান মাতুব্বরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়। আহত অপর চারজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, মাছ কেনা নিয়ে বিরোধ হয়। এ সময় চারজনকে কুপিয়ে ও একজনকে পিটিয়ে জখম ও আহত করার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হই। বিবাদমান দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। শুক্রবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

জহির হোসেন/আরকে