যশোরে পুলিশ পরিচয়ে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম, ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণকারী রুবেল হোসেন (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া বেলেরমাঠ গ্রামে তার ভায়েরা জালাল হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন বিকেলে আসামি রুবেল হোসেনকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যশোর পিবিআই এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতারক রুবেল হোসেন রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার আসকরপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

যশোর পিবিআই পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, আসামি রুবেল হোসেন নিজেকে কখনও পুলিশ সদস্য, আবার কখনও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। তারপর তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে সেটির ভিডিও ধারণ করা এবং সেই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করাই তার পেশা।

এমনই একজন ভুক্তভোগীর বাবা আসামি রুবেল হোসেনের দ্বারা প্রতারিত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যশোর পিবিআইয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি তদন্তকালে জানা যায়, আসামি রুবেল একজন প্রতারক। 

সে ভুক্তোভোগী নারীর কাছে নিজেকে পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিশ্বস্ততার সুযোগে আসামি রুবেলের পরিচিত বাসা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভুক্তোভোগীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ওই ভিডিও ও ছবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রুবেল ভুক্তভোগী নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে এবং একাধিকবার ভুক্তোভোগীকে ধর্ষণ করে। অনুসন্ধানকালে আসামি রুবেল হোসেন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে সত্যতা পাওয়া গেলে ঝিকরগাছা থেকে আসামি রুবেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তারের সময় রুবেল হোসেনের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারীর বাবা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা রুজু হয় এবং আসমি রুবেল হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এ্যান্টনি দাস অপু/আরকে