আটক মো. রায়হান

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা পুলিশের এক সোর্সকে কামড়ে মো. রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী নামের এক যুবক পালিয়ে গেছেন। উপজেলার ১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান। এরই মধ্য ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী সুমন হ্যান্ডকাপসহ রায়হানকে নিয়ে থানায় হাজির হন।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, উপজেলার দেবীপুর ও আশপাশের এলাকায় রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী ইয়াবা বেচাকেনা করে আসছেন। রায়হান দেবীপুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তাকে আটক করতে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোনায়েম হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ কয়েকজন সোর্স নিয়োগ করেন।

বুধবার রাত ৮ টার দিকে দেবীপুর গ্রামে পুলিশের সোর্স মানিক ইয়াবা কেনার কথা বলে রায়হানের কাছে যান। সেখানে হাজির হন ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে রায়হানকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও সোর্স আগে পরে ছিল। একপর্যায়ে সোর্স মানিকের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে রায়হান হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া ঘটনাস্থলে যান। আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেন ও মনোয়ার নামে দুইজনকে আটক করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন ইউপি সদস্য (মেম্বার) জানান, পুলিশের সোর্স মানিক গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে নারীসহ কয়েকজন আহত হন। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রায়পুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী রায়হান সোর্সের হাত কামড়ে পালিয়ে গেলেও পরে তাকে ধরা হয়। পুলিশ দেখলে রায়হান পালিয়ে যান এজন্য সোর্সের সহায়তা নেওয়া হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী সুমন বলেন, হ্যান্ডকাপসহ রায়হানকে হাজির করতে পরিবারকে আমি চাপ দিয়েছি। পরে তাকে নিয়ে মধ্যরাতে থানায় সোর্পদ করেছি। ঘটনার পর এলাকা থেকে আটক নিরপরাধ দুইজনকে ছাড়িয়ে আনা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

জানতে চাইলে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, রায়হান মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছে ১৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মাদক-দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাদা পোশাকে থাকা পুলিশকে সাধারণ মানুষ মনে করেছে রায়হান, এজন্য পালিয়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামাণিক বলেন, দেবীপুরের ঘটনাটি আমি অবগত নই। রাতে রামগঞ্জে ছিলাম, বিস্তারিত না জানায় আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই।

এএম