বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরছেন দুই মাছশিকারি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ফুলদি নদে বড়শি দিয়ে পুঁটি মাছ ধরে সংসার চালান প্রায় অর্ধশত পরিবার। সারাদিন মাছ ধরে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয় তাদের। এ দিয়েই চলে সংসার। তবে কেউ কেউ অন্য পেশায় এর চেয়ে বেশি আয় করতে পারলেও শখের কারণে মাছ ধরেই সংসার চালিয়ে থাকেন।

নদটি খননের মাধ্যমে গভীর করা ও যত্রতত্র ছোপ ফেলে মাছের অবাধ চলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে যাতে কেউ মাছ শিকার না করতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এখানকার মাছশিকারি জেলেরা

সরেজমিনে গজারিয়া উপজেলার ফুলদি নদের রসুলপুর ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, নৌকার মধ্যে বড়শি নিয়ে মাছ ধরছেন জেলেরা। ছোট ছোট বড়শির মধ্যে আটা, বিস্কুট, পাউরুটি গুলিয়ে মাছের খাদ্য তৈরি করে তা দিয়ে পুঁটি মাছ ধরছে জেলেরা। খাবার উপকরণের কারণে শুধু পুঁটি মাছই ধরে তাদের বড়শিতে। তবে মাঝেমধ্যে দু-একটি নলা, শরপুঁটি মাছও পান তারা।

ওই স্থানে মাছ ধরতে থাকা রজব আলী, সুমন, ইমরান জানান, প্রতিদিন মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন তারা। যেদিন ভালো মাছ পান, সেদিন তা বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়। আবার কোনো দিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকাও আয় করেন। অনেকে পাশাপাশি অন্য কাজ করলেও যখনই কোনো কাজ থাকে না, তখনই বড়শি নিয়ে ছুটে আসেন মাছ ধরতে। আবার অনেকে অন্য পেশায় কাজ করতে না পেরে বেছে নিয়েছেন এই পেশা। কারণ বড়শি দিয়ে শারীরিক কঠিন শ্রম ছাড়াই সহজেই মাছ ধরা যায়। এ পেশায় অনেকে পান বাড়তি আনন্দও।

মাছ ধরতে ধরতে কবির জানান, গজারিয়া উপজেলার এই অঞ্চলটি তিন জেলার মোহনায় অবস্থিত হওয়ায় গজারিয়া ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলার লোকজন এ নদীতে মাছ ধরতে আসে। ফুলদি নদটি মেঘনা নদীর শাখা নদ হওয়ায় একসময় এই নদে প্রচুর পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু পলি পড়ে নদটা ভরাট হওয়ার কারণে এখন তেমন মাছ পাওয়া যায় না । তা ছাড়া নদীতে ছোপ ফেলে (মাছের অভয়াশ্রম) গড়ে মাছ ধরার কারণে বড়শিতে এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না।

নদটি খননের মাধ্যমে গভীর করা ও যত্রতত্র ছোপ ফেলে মাছের অবাধ চলাচল বিঘ্ন ঘটিয়ে যাতে কেউ মাছ শিকার না করতে পারে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এখানকার মাছশিকারি জেলেরা।

এনএ