মারধরের শিকার ৪ শিশু

নীলফামারীর ডোমারে একটি মসজিদের ভেতর চার শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ডোমার পৌরসভার বড় রাউতা এলাকায় মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগী শিশুরা হলো- উপজেলার বড় রাউতা মডেল স্কুলপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর মোহাম্মদ জিয়ন (১২), ইলিয়াছ সরকারের দুই ছেলে আম্মান ইসলাম লাম (১২) ও তালহা ইসলাম আবির (৯) এবং রওশনারা বেগমের ছেলে রঞ্জুন ইসলাম লাইম (১২)।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন- ওই এলাকার মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান (৬০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শবে বরাতের নামাজ আদায়ের জন্য ওই ৪ শিশু মসজিদে যায়। এশার নামাজের সময় মসজিদে আসা অন্য শিশুদের সঙ্গে তারা হই-হুল্লোড় শুরু করে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে নামাজ শেষে মশিয়ার রহমান ওই ৪ শিশুকে চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করেন। উপস্থিত অন্যান্য মুসল্লিরা ওই শিশুদের উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তারা বাড়িতে এসে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে বুধবার তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এ বিষয়ে ডোমার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাহমুদ বীন আলম বলেন, ছোট বাচ্চারা তো দুষ্টামি করবেই। তাদের বোঝাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে তারা যেন নিয়মিত মসজিদে আসে। ৭ বছর হলে বাচ্চাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরার তাগিদ দিতে হবে। ১০ বছর হলে নামাজ না পড়লে শাসন করতে হবে। আর এভাবে মসজিদে এসে যদি তারা মারধরের শিকার হয় তাহলে তো তারা নামাজের প্রতি আগ্রহ হারাবে।

শরিফুল ইসলাম/আরকে