পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, অগ্রহণযোগ্য আচরণ কোনো পুলিশ সদস্যের মাঝে দেখা গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই; মাদক সংক্রান্ত যেকোনো ঘটনায় পুলিশ সদস্য জড়িয়ে পড়লে চাকরিচ্যুত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইন ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত বিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের শৃঙ্খলা বিশ্বে সমাদৃত। স্বীকৃতি অর্জন করেই শেষ নয়, স্বীকৃতি ধরে রাখতে হবে। এজন্য সরকারি সুবিধার বাইরে অসৎভাবে লাভবান হওয়ার সংস্কৃতি ভেঙে ফেলতে হবে। বাঙালি ঐতিহ্য-সংস্কৃতির বিপরীতে কেউ যেন কোনো কাজে লিপ্ত হতে না পারে সেজন্য কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। দু-চারজন ব্যক্তির খামখেয়ালিপনায় আমাদের নাজেহাল হতে দেয়া হবে না।

মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বলেন, ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্টতায় ফৌজদারি আইনে মামলা এবং চাকরিচ্যুত প্রক্রিয়াও চলছে। এভাবে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু এখনও যারা মাদক ছাড়তে পারছেন না তাদের জন্য কঠিন শাস্তি আসন্ন।

কল্যাণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ-কমিশনার জুলফিকার আলি হায়দার, আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ, মোকতার হোসেন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, খাইরুল আলম, খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের ও মনজুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা।

বরিশাল পুলিশ লাইন ড্রিল শেডে বিএমপির মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সদস্যরা

গত ১৫ মাসে ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়ায় মাদকাসক্ত শনাক্ত হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ১৭ সদস্য অভিযুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সরাসরি মাদক ব্যবসায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্টতায় চারজনকে চূড়ান্তভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। আরও কয়েকজনের নাম চাকরিচ্যুতির তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

জানা গেছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্দেহভাজন সদস্যদের ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। এরপর থেকে প্রতি মাসে ডোপ টেস্ট করা হয় সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের। ইতোমধ্যে ৪৮ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। যার মধ্যে ১৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এএম