অবশেষে মারা গেলেন সেই বৃদ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ২২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অজ্ঞাত এই বৃদ্ধ মারা গেছেন
টানা ২২ দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অজ্ঞাত সেই ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) ভোরে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধ। পরে প্ল্যাটফর্মে থাকা লোকজন মাথায় পানি ঢেলে তার জ্ঞান ফেরান। কিছুক্ষণ পর আবারও তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কওমি ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক শাকিল আহমেদ রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বৃদ্ধকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ১০ দিন পর চোখ খোলেন বৃদ্ধ। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারতেন না। স্ট্রোক করেছেন কিনা বা মাথায় কোনো আঘাত পেয়েছেন কিনা সেটি জানার জন্য সিটি স্ক্যান করতে বলেন চিকিৎসক। কিন্তু স্বজনদের খোঁজ না পাওয়ায় টাকার অভাবে সিটি স্ক্যান করানো যায়নি। বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৩টায় মারা যান ওই বৃদ্ধ।
কওমি ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক শাকিল আহমেদ বলেন, বৃদ্ধের স্বজনদের কোনো খোঁজ পাইনি। আমিই হাসপাতালে গিয়ে তার দেখাশোনা করছিলাম। হাসপাতালে যে পরীক্ষাগুলো করানো যায়, সেগুলো কর্তৃপক্ষকে বলে বিনামূল্যে করিয়েছি। কিন্তু টাকার অভাবে সিটি স্ক্যান আর করাতে পারিনি।
বিজ্ঞাপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক খান রিয়াজ মাহমুদ বলেন, হৃদরোগে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তিনি রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধের স্বজনদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি