খুলনায় ওষুধ ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি
আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে
খুলনার তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত থাকলেও একজন পলাতক ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইলিয়াজ খান রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মৃত রহমান মোল্লার ছেলে ফরিদ মোল্লা, লকিত মোল্লার ছেলে মিসবাহ মোল্লা, রিজ্জাক মোল্লার ছেলে মোর্তজা মোল্লা ও খালিদ মোল্লার ছেলে টুটুল মোল্লা।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আফসার শিকদারের ছেলে সেলিম শিকদার, মোস্তফা শিকদারের ছেলে শহিদুল শিকদার, চানমিয়া শিকদারের ছেলে নাসির শিকদার ও মুক্ত মোল্লা। এ ছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখ ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট দোকান বন্ধ করে আরিফ মোল্লাকে সঙ্গে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোজা উপলক্ষে মালামাল কেনার জন্য মুন্সী বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে তার ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে কুপিয়ে জখম করে।
পরে ফিরোজ শেখ ও তাকে বহনকারী ভ্যানচালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে তেরখাদা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৩টায় মারা যান তিনি। ওই ঘটনার তিনদিন পর তার ভাই হিরু শেখ বাদী হয়ে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে তেরখাদা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এএসপি আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৩০ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ এ মামলার রায়ে ১৩ আসামির মধ্যে চার আসামিকে ফাঁসি ও পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ মিলন/এসপি