সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলায় আরও ১২ জনকে গ্রেফতার দেখাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের গ্রেফতারের আবেদন জানায় পিবিআই। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান গ্রেফতার আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ইউসুফ নবী বাহাদুর, আলমগীর হোসেন, রাহাত, আবদুল আমিন, আজিজুল হক মানিক, মোশারফ হোসেন, সুজায়েত উল্যা সবুজ, বিক্রম চন্দ্র ভৌমিক, ফয়সাল আলম টিটু, দেলোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান ও সেলিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মামলার বেশ কিছু আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণে ১২ জনকে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আদালতে আবেদন করলে মঞ্জুর করেন বিচারক।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৭ মার্চ বসুরহাট পৌর এলাকা থেকে বেলাল হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনদিন রিমান্ড শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

গত ৯ মার্চ বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে এক অটোরিকশাচালক নিহত হন।

এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ এ পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ববাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে অর্ধশতাধিক আহত হন।

পরদিন শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক মুজাক্কির। এ ঘটনায় তার বাবা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

হাসিব আল আমিন/এএম