বিমানবন্দর চালু হলে বদলে যাবে ঠাকুরগাঁও
দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তৈরি হয় ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে বিমানবন্দরের রানওয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশ স্বাধীনের পর কিছু সংস্কারের মাধ্যমে বিমানবন্দরটি আরও বেশ কয়েক বছর চালু ছিল।
কিন্তু ১৯৭৯ সালে সৈয়দপুর বিমানবন্দর চালু হওয়ার পর যাত্রী স্বল্পতার অজুহাতসহ নানা কারণ দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ১৯৮০ সালের পর আর কোনো যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করেনি এখানে।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে ১৯৮০ সালে সর্বশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও বিমানবন্দরের কর্মরত জনবল বহাল ছিল ১৯৮২-৮৩ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ে কাকলী ভিলা অর্থাৎ ডা. ইউসুফ বাসভবন থেকে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরের অফিস আশ্রমপাড়া স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে রানওয়ের সংস্কারসহ বিমানবন্দরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়।
১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম একটি বিশেষ উড়োজাহাজে এ বিমানবন্দরে অবতরণের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও সফর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তখন ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইনস, জিএমজি এয়ারলাইনসহ একাধিক প্রাইভেট কোম্পানিকে। কিন্তু তা আর কার্যকর করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরটি আবারও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ের অর্থনীতি বেশ মজবুত। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অসংখ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এ জেলায়। তাই এ জেলার ভাগ্য বদলে বিমানবন্দরটি আবার চালু করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম একটি বিশেষ উড়োজাহাজে এ বিমানবন্দরে অবতরণের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও সফর করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তখন ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে বিমান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অ্যারো বেঙ্গল এয়ারলাইনস, জিএমজি এয়ারলাইনসহ একাধিক প্রাইভেট কোম্পানিকে। কিন্তু তা আর কার্যকর করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়। ধীরে ধীরে বিমানবন্দরটি আবারও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে
ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ সরকারের আমলে ৫৫০ একর জমির ওপর নির্মিত। বিমানবন্দরটি দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৭ মিটার ওপরে অবস্থিত। এ জেলার আশপাশে বড় কোনো নদী না থাকায় বন্যা থেকে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত।
বর্তমানে রংপুর বিভাগের কৃষিসমৃদ্ধ জেলাগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। উৎপাদনে নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশ ও দেশের বাইরে খাদ্য রপ্তানিতে সক্ষম। আর্থিক সচ্ছলতায় আগের চেয়ে বেশ এগিয়ে। জেলায় সচ্ছলতার হার ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ইতোমধ্যে এ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইপিজেড, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পনগরী স্থাপনের প্রাথমিক কাজ চলমান।
পাঁচটি উপজেলার সমন্বয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার আয়তন এক হাজার ৮০৯ দশমিক ৫২ বর্গকিলোমিটার। জেলার প্রায় ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে পঞ্চগড়, ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে দিনাজপুর, পূর্বে পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ব্যতীত বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, হরিপুর ও পীরগঞ্জসহ চারটি উপজেলা পশ্চিম ও দক্ষিণে ভারতের সীমানাঘেঁষা। জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষাধিক। ভৌগলিক বিবেচনায় দেশের সর্ব উত্তরের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার একাংশসহ প্রায় ৪০ লাখ মানুষের যোগাযোগে সহজ কেন্দ্রবিন্দু ঠাকুরগাঁও সদর।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার। সড়কপথের যোগাযোগকে নিরাপদ মনে করছেন না অনেকেই। ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলে। তবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রায় বেশ অনীহা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের। বিমানবন্দরটি চালু হলে এ অঞ্চলে পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্প উদ্যোক্তা, চিকিৎসক ও পর্যটকসহ অনেকেই আগমনে উৎসাহিত হবেন। ফলে বদলে যাবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান। সেই সঙ্গে বর্তমানের চেয়ে তিনগুনেরও অধিক যাত্রী বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী এ জেলার সর্বস্তরের মানুষ।
ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা লাভলী আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ব্যবসায়িক কাজে সপ্তাহে অন্তত দুবার ঢাকা যেতে হয়। আমার মতো অনেকেই ঠাকুরগাঁও থেকে সৈয়দপুর হয়ে ঢাকায় যান। সে কারণে আমাদের সময়টা খুব বেশি লাগে। এতে ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটে। ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু হলে ব্যবসায়ীদের অনেক উপকার হবে।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার। সড়কপথের যোগাযোগকে নিরাপদ মনে করছেন না অনেকেই। ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে তিনটি আন্তনগর ট্রেন চলে। তবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রায় বেশ অনীহা ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের। বিমানবন্দরটি চালু হলে এ অঞ্চলে পুঁজি বিনিয়োগকারী শিল্প উদ্যোক্তা, চিকিৎসক ও পর্যটকসহ অনেকেই আগমনে উৎসাহিত হবেন। ফলে বদলে যাবে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান। সেই সঙ্গে বর্তমানের চেয়ে তিনগুনেরও অধিক যাত্রী বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী এ জেলার সর্বস্তরের মানুষ
কলেজছাত্র মোস্তফা রশিদ মাহি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জেলায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করলে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও অনেক উপকৃত হবে। অনেক সময় ভর্তি পরীক্ষাসহ একাডেমিক কারণে জরুরি কাজে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাগার কারণে সঠিক সময়ে পৌঁছানো যায় না। বিমানবন্দরটি চালু হলে এটি অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
ঠাকুরগাঁও থেকে বিমানযোগে ঢাকা যাওয়া যাত্রী লন্ডনপ্রবাসী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ১৯৬৮ সালে আমি যখন লন্ডন যাই তখন ঠাকুরগাঁও থেকে বিমানযোগে ঢাকা যাই। নয় বছর পরে যখন লন্ডন থেকে দেশে ফিরে আসি তখনও ঢাকা থেকে বিমানযোগে ঠাকুরগাঁও আসি, যা আমার জন্য ছিল বেশ সুবিধাজনক। এখন ঢাকা থেকে আগে সৈয়দপুর যেতে হয় তারপর ঠাকুরগাঁও। এতে অনেক সময় ও খরচ বেড়ে যায়। আমার মতো অনেকেই রয়েছেন যাদের জন্য এটি এখন কষ্টের। পুনরায় ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু হলে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের মানুষ উপকৃত হবে।
জেলা শহরের মাইক্রোবাসচালক আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যদি বিমানবন্দরটি চালু হয় তাহলে আমাদের ভাগ্য বদলে যাবে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসবে। আমাদেরও চাহিদা বেড়ে যাবে। বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করা হোক।
ঠাকুরগাঁও জেলা মোটর-শ্রমিক পরিবহন ইউনিয়নের সভাপতি দানেশ আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে ভারী কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। বিমানবন্দরটি চালু হলে সবাই উপকৃত হবে। সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন আমাদের মতো শ্রমিকরা।
নভোএয়ার এয়ারলাইনস ট্রাভেল এজেন্সি, ঠাকুরগাঁও শাখার ম্যানেজার হুসেইন আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু হওয়া জরুরি। কেননা ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা যেতে হলে সৈয়দপুর যেতে হয়। এতে আলাদা খরচ ও অনেক সময় লেগে যায়। এছাড়া ট্রাভেল এজেন্সি গড়ে উঠলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
‘ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চাই’ আন্দোলন কমিটির সদস্য নন্দন ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে যে কয়েকটি অবহেলিত জেলা রয়েছে তার মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। এ জেলা অনেক সম্ভাবনাময় হলেও আমরা ভালো কিছু পাচ্ছি না, যা আমাদের জন্য বেশ কষ্টদায়ক। সে লক্ষ্যে আমরা বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি। যে আন্দোলনটি এখন গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি, সাংবাদিক সম্মেলন ও সাফল্যের সঙ্গে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করতে সক্ষম হয়েছি। যতদিন না আমাদের দাবি পূরণ হবে ততদিন আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
একই কমিটির সদস্য রুবেল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। সড়কপথে বাস বা ট্রেনে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১১-১২ ঘণ্টা। আর সৈয়দপুর হয়ে বিমানযোগে গেলেও সময় লেগে যায় ৪-৫ ঘণ্টা। সে কারণে বিমানে গেলেও সময়টা খুব বেশি সাশ্রয় হয়ে ওঠে না। ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হলে সবমিলিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে মানুষ ঢাকায় পৌঁছাতে সক্ষম হবে। এতে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হবে।
ঠাকুরগাঁও চেম্বার অ্যান্ড কর্মাসের সাবেক পরিচালক মামুনুর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সময়ের ঘুরপাকে বিমানে যাতায়াত এখন আর বিলাসিতা নয়। বরং এটি এখন মানুষের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার অনেক পরিচিত ব্যবসায়ী রয়েছেন শুধুমাত্র দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এখানে ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন না। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যদি বিমানবন্দরটি চালু করা হয় তবে তারা অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখানে গড়ে তুলবেন। আর কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে জেলার অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু কাইয়ুম চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানবন্দরটি হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন সেটি পুনরায় চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র একটু উদ্যোগ নিলেই এটিকে আবার নতুন মোড়কে চালু করা যাবে। আমরা যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছি আমাদের প্রায় সময় ঢাকা যেতে হয়। সৈয়দপুর হয়ে গেলে অনেক সময় লেগে যাওয়ার ফলে এলাকায় কাজে ব্যাঘাত ঘটে। সে কারণে আমি সরকারের কাছে জোর দাবি জানায় জটিলতার অবসান ঘটিয়ে আমাদের বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করা হোক।
জেলা জাতীয় পাটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জেলায় ঐতিহ্যবাহী একটি বিমানবন্দর রয়েছে। যদি এটি চালু করা হয় তাহলে এ জেলার মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। সেই সঙ্গে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের যে জেলাগুলো রয়েছে সে এলাকার মানুষও উপকৃত হবে। স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে। মহাজোট সরকার উন্নয়ন করে যাচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু হবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন এটা বলার সুযোগ নেই যে বিমান বিলাসবহুল যানবাহন। এটি এখন খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে শুধু কিছু মানুষের বাড়িতে টিভি আর ফ্রিজ থাকত। এখন সকলের বাড়িতে আছে। বিমানবন্দরটি চালু হলে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন। কারণ, তারা স্বল্প সময়ে কাজ শেষে করে রাজধানীতে ফিরে যেতে চান। তাই এ জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিমানবন্দরটি চালু হওয়া জরুরি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঠাকুরগাঁওসহ সারা দেশে সরকার যে উন্নয়ন করে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছে তা সকলের জানা। ১৯৭০ সালে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে এসে নামেন। এখান থেকে তখন তিনি আশপাশের জেলাগুলোতে নির্বাচনী জনসভা সম্পন্ন করেন। যে বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু এসেছেন সেটি এখন পুনরায় চালু হওয়া সময়ের দাবি। এ সরকার যে হারে উন্নয়ন করে যাচ্ছে আমি আশা করি অচিরেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানবন্দরটি চালু করার জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। এটি চালু হলে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে। সেই সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। আমরা আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। ইতোমধ্যে জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করছে। বিমানবন্দরটিও আবার চালু করবে এ সরকার।
এমজেইউ