জামিন না পাওয়া আসামিকে বের করতে কারসাজি
জামিন না পেলেও আব্দুর রহিম নামের এক আসামিকে যশোর কারাগার থেকে মুক্ত করার চূড়ান্ত আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু জানাজানির পর একেবারে শেষ ধাপে আটকে যায় ওই আসামির ছাড়া পাওয়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এমন ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দুজনকে কোর্ট পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্রমতে, গত ১১ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুর রহিমসহ মাদক সেবনরত ছয়জন কোতোয়ালি পুলিশের হাতে আটক হন। তাদের ডোপ টেস্ট করা হলে পরীক্ষার রিপোর্টেও মাদক সেবনের আলামত মেলে। আদালত আটক ছয়জনকে কারাগারে পাঠান। বৃহস্পতিবার আবদুর রহিম বাদে অন্য পাঁচজনের জামিন দেন আদালত।
এদিকে ছয়জনেরই জামিন পাওয়ার জন্য অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুলুকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে আইনজীবী শরিফা বেগম আসামি আব্দুর রহিমের মামলাটি দেখভালের জন্য মৌখিকভাবে জুলফিকার আলী কাছ থেকে তার অধীনে নিয়ে নেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার জুলফিকার আলী জুলুর আবেদনে পাঁচ আসামির জামিন হয়। বাদ ছিলেন আব্দুর রহিম। কিন্তু জুলফিকার আলীর মহুরি মামুনুর রশিদ মামুন এবং শরিফা বেগমের মহুরি মেহেদী হাসান মধু ‘কারসাজি’ করে ছয়জনের নামে জামিননামা ও ছাড়পত্র তৈরি করে আদালতে জমা দেন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরের পর বিষয়টি জিআরও সেরেস্তাদারের নজরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি আদালতসহ সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবহিত করেন। তবে এরই মধ্যে আসামিদের জেলখানা থেকে বের করতে যোগাযোগ করা হয়। পরে আব্দুর রহিমের কারাগার থেকে বের হওয়া আটকে যায়।
এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুলু ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, বিষয়টি কোনো উদ্দেশ্যমূলক নয়, বরং ভুলক্রমে হয়েছে।
জাহিদ হাসান/এনএ