পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের কল্যাণে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের সম্মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ তালেব উদ্দিন ও কৃপেন্দ্র দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু জীবদ্দশায় নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত্যুর পরও যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দিরাই হাতিয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগ নেতা তালেব উদ্দিন ও পাগলা ব্রাহ্মণগাঁওয়ের কৃপেন্দ্র দাসসহ অজ্ঞাত আরও এক মুক্তিযোদ্ধা পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হন। তাদেরকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী সুনামগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার সময় আহসানমারা ফেরী ঘাটে গুলি করে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে যায়। তাদের তিনটি লাশ নদীর স্রোতে ভেসে উজানীগাঁও গ্রামের জয়কলস উজানীগাও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সুরমা নদীর তীরে এসে ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত লাশগুলো দেখতে পেয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উজানীগাঁও রাশিদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উজানীগাঁও জামে মসজিদের পাশে এনে একটি কবরস্থানে সমাহিত করেন।

সোহানুর রহমান সোহান/আরএআর