ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৫০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার যানবাহন, যাত্রী ও চালক।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে এ যানজট শুরু হয়। আজ বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ যানজট শেষ হয়নি। কখন শেষ হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। দাউদকান্দি হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (আইসি) জাহাঙ্গীর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, প্রতিবছর নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থানার নাঙ্গলবন এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা গঙ্গাস্নানে আসেন। সারাদেশ থেকে ৮-১০ লাখ মানুষ এ স্নানে অংশ নিতে আসেন। মঙ্গলবার রাতে সারাদেশ থেকে আগত মানুষ জড়ো হয়েছেন সেখানে। ফলে রাত আড়াইটার দিক থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত মানুষের সমাগম বেড়ে গেছে। এতে যানজট শুরু হয়েছে। সেই যানজট কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর হয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। যানজটের পর থেকেই আমরা নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কোনো ফল আসছে না। ২০-৪০ মিনিট থেমে থাকার পর সামান্য একটু এগোয় গাড়িগুলো। আবার আটকে থাকতে হয়।

কুমিল্লা হাইওয়ে রিজিয়নের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যানজটের সূত্রপাত নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে কুমিল্লায় দিয়ে গেছে। যানজটের দৈর্ঘ্য ৫০ কিলোমিটারের মতো হলেও কুমিল্লায় যানজট আছে ১০ কিলোমিটার।

প্রসঙ্গত, কয়েক লাখ সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা পাপমোচন ও মনের আশা পূরণের জন্য স্নানোৎসবে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে জড়ো হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থানার নাঙ্গলবন এলাকায়। লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে দু’দিন ব্যাপি স্নান উৎসবের দ্বিতীয় দিনে পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৭ মিনিটে তিথি শুরু হয়ে বুধবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে স্নানের সময় শেষ হবে।

আরিফ আজগর/আরকে