টানা ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকা শেষ করলেন দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী

টানা ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা আঁকা শেষ করলেন দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে গাইবান্ধার ১০ কিলোমিটার সড়কে এ আলপনা এঁকেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পুলিশ লাইনের সামনে থেকে শুরু হওয়া এ আলপনা উৎসব শেষ হয় শুক্রবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টায়। 

মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ)। ‘দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ; রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ’ স্লোগানে আলপনা উৎসবে অংশ নেন এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

গাইবান্ধার ১০ কিলোমিটার সড়কে এ আলপনা এঁকেছেন শিক্ষার্থী

সংগঠনের সভাপতি হুসেইন মোহাম্মদ জীম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে আলপনা আঁকা শুরু হয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টায় শেষ হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ১০ কিলোমিটার সড়কজুড়ে আলপনা আঁকতে সময় লেগেছে ২৪ ঘণ্টা। গাইবান্ধা-বাদিয়াখালী-ফুলছড়ি সড়কের ১০ কিলোমিটারে এ আলপনা চোখে পড়বে সবার। এটিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ আলপনা।

তিনি আরও বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে হলে আবেদন করতে হয়। ইতোমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এটিই হবে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেবে এই আলপনা।

গাইবান্ধা-বাদিয়াখালী-ফুলছড়ি সড়কের ১০ কিলোমিটারে এ আলপনা চোখে পড়বে সবার

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম প্রামাণিক পার্থ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলপনা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। হাজারো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি আমাদের দিকনির্দেশনা ও কাজটি সুন্দরভাবে ফুটে তুলতে সহায়তা করেছেন অর্ধশতাধিক চিত্রশিল্পী। আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

সড়কজুড়ে দীর্ঘতম আলপনা আঁকার এমন উদ্যোগ দেশে এই প্রথম। এই আলপনা বিশ্বে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবে বলে আশা আয়োজকদের।

রিপন আকন্দ/এএম