ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এখন থেকে মিলবে প্রাইভেট চেম্বারের সেবা। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৫১টি জেলায় এ বৈকালিক সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এরপর বিকেল ৩টা থেকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখা শুরু করেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লব। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তার চেম্বারে একজন রোগীকেও সেবা নিতে দেখা যায়নি।

সরেজমিন ভোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর হাসপাতালটির নতুন ভবনের পাঁচ তলায় চেম্বার করছেন ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লব। তবে আরেকজন মেডিকেল অফিসার চেম্বার করার কথা থাকলেও রোগী না থাকায় তিনি চেম্বারে বসেননি। বিকেলে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালে একজন রোগীরও দেখা পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের সামনে থাকা স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা বিকেলের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে কিছুই জানে না।

হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসা পৌর কাঁঠালী থেকে আসা আশিক জানান, হাসপাতালে যে বিকেলে স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছে এটি আমার জানা নেই। এই মাত্র শুনেছি। তবে বিষয়টি ভালো উদ্যোগ বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়টি সফল করতে স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যাপক হারে প্রচার প্রচারণা করতে হবে।  

চিকিৎসা সেবা দেওয়া ভোলা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মেহেদী হাসান বিপ্লব জানান, সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধনের পরপরই তিনি চেম্বার শুরু করেছেন। আরও এক জন মেডিকেল অফিসার বসার কথা রয়েছে। তবে প্রথমদিনে কোনো রোগী সেবা নিতে আসেনি। 

ভোলা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, আজকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো রোগী সেবা নিতে আসেননি। হঠাৎ করে এটি উদ্বোধন হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখনো বিষয়টি জানে না। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারণা চালাতে হবে। শনিবার থেকে পরিপূর্ণভাবে এ সেবা চালু করা যাবে। সরকারি নিয়মে বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত হাসপাতালের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি থাকবে। এ সময়ের মধ্যে যত রোগী আসবে তাদেরকে সেবা দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এখানে রোগীরা কম টাকায় সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে সেবা নিতে পারবেন। পাশাপাশি প্যাথলজিক্যাল সেবাও নিতে পারবেন।

আরকে