পাটুরিয়াঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় বাস-ট্রাকের সারি

পদ্মায় কুয়াশার কারণে রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘসময় পাটুরিয়াঘাট এলাকায় অপেক্ষা করে ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌরুট পার হতে আসা যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। 

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। সংশ্লিষ্টদের মতে, শীত মৌসুম ছাড়াও এ নৌরুট ব্যবহারকারীদের দুর্ভোগ আর ভোগান্তি যেন নিত্যদিনের।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পাটুরিয়াঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকামুখী তিন কিলোমিটার এলাকায় পরিবহন বাস ও সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দু'টি ট্রাক টার্মিনালে আরও চারশ ট্রাক নৌরুট পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া পাটুরিয়া ৩ নং ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনবোঝাই শাহ আলী, হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধা নামের তিনটি ফেরি নোঙর করে আছে। শীতের মধ্যে রাতভর বাসে অপেক্ষার পর ভোর থেকেই নদী পারাপার হওয়ার জন্য অনেক যাত্রীকে ঘাট এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

রয়েল পরিবহন বাসের যাত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, রাত ১২টার দিকে ঘাটে পৌঁছানোর পরই ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে ভোগান্তি নিয়েই বাসে রাত কাটিয়েছি।

হানিফ পরিবহনের যাত্রী জলিল মিয়া বলেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি খুলনা যাচ্ছি। রাত ২টার দিকে ঘাটে এসে শুনলাম ফেরি বন্ধ। পরিবার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছি।

ট্রাকচালক মহিদুর মিয়া বলেন, ‘আমরা এমনিতেই ঘাট পারের সুযোগ কম পাই। তার ওপর কুয়াশার কারণে সারা রাত ফেরি বন্ধ ছিল। কপাল ভালো হলে আজকে ঘাট পার হবার পারমু। আর না হলে এখানে বসে থাকা লাগবো। আমাদের ট্রাক চালকদের কুয়াশাই কী আর ঘাট সচল থাকলেই কী। পাটুরিয়াঘাটে সবসময়ই ট্রাক চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন বলেন, নদীতে ঘন কুয়াশা পড়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাত ১২টা থেকেই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সবশেষ ঘাট এলাকায় পরিবহন বাস, সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে আট শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে।

এসআর