পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবি তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের
তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে রংপুরে দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি-পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন দশায় পতিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’ এর নেতারা। শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বরে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সংগঠনটি।
সংগঠনের নেতারা বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সরকারের আলোচনা করতে হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের পূর্বেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সংগঠনের আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা পলাশ কান্তি নাগের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সবুজ রায়, নিপীড়নবিরোধী নারীমঞ্চের সদস্য সুলতানা আক্তার, শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাবু, সংস্কৃতিকর্মী নাসির সুমন প্রমুখ।
নেতারা আরও বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীতে বাঁধ-ব্যারেজ নির্মাণ করে একতরফভাবে পানি প্রত্যাহার করছে। ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের কৃষি ও জীবনরেখা আজ হুমকির মুখে। স্বাধীনতা-পরবর্তী ক্ষমতাসীন সব শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে নেতারা বলেন, বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে সুন্দরবনে প্রাণ-প্রকৃতি বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ নানা কৌশলে ভারত সুযোগ-সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে। ভারতের পানি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণকে সোচ্চার হতে হবে। দেশকে মরুকরণের বিপদ থেকে রক্ষা করতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বিকল্প নেই।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও দোষীদের বিচারের দাবিও সমাবেশে জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে শ্রমিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর