কারাবন্দি ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু
শরীয়তপুর জেলা কারাগারে বন্দি এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বাবুল সিং (২৫) নামে ওই ভারতীয় নাগরিকের। বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় বাবুল সিংয়ের বাবা-মায়ের নামসহ ঠিকানাও জানতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে শরীয়তপুর কারাগারের ডেপুটি জেলার রাকিব শেখ ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
রাকিব শেখ বলেন, বাবুল সিং গত বছরের ১৭ জুন থেকে কারাগারে ছিলেন। তিনি কথা বলতে পারতেন না। শনিবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে তার সঙ্গে বন্দি আরেক ভারতীয় নাগরিক কারা কর্তৃপক্ষকে জানায় যে বাবুল অসুস্থ। তাকে ১০টা ৩০ মিনিটে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শরিফ উর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভারতীয় নাগরিকের ব্লাড প্রেসার ও পালস কম ছিল। ১০টা ৩৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। সুরতহালের পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বিজ্ঞাপন
শরীয়তপুর কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগেও একজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় বাবুল সিংকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমরা বন্দি ও মারা যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাইকমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ৮টায় বাবুল সিংয়ের সুরতহাল করা হবে। এরপর কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্দেশনা অনুযায়ী তার মরদেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বাবুল সিংয়ের মৃত্যুর পর শরীয়তপুর জেলা কারাগারে বর্তমানে ২২ ভারতীয় নাগরিক বন্দি রয়েছেন। এদের সবাইকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পদ্মা সেতু এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করে। ২২ ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
বাবুল সিংয়ের আগে গত ১৮ জানুয়ারি সতেন্দ্র কুমার (৪০) এক ভারতীয় কারাবন্দি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পালস কমে যাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। সতেন্দ্র কুমারের মরদেহ বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। তিনি দিল্লির সাথুরা মুলতানপুর জেলার চেয়াপুর গ্রামের চন্দ্রপালের ছেলে বলে জানা গেছে।
ওএফ