হোটেল কক্ষে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের লাশ, বিছানায় চেতনানাশক
বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের লাশ উদ্ধার
বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে হোটেল এরিনার ৬০৮ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের হাতে ক্যানোলা পরানো ছিল; বিছানায় চেতনানাশক ওষুধ ও সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট মিরন চন্দ্র হালদার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের বরুন চন্দ্র হালদারের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাননি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিজ্ঞাপন
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, তার মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বাকেরগঞ্জের একটি ক্লিনিকের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ছিলেন তিনি।
হোটেল এরিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিরন চন্দ্র হালদার শনিবার (২০ মার্চ) দুপুরে হোটেলের ৬০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত রুমের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেখে খাটের ওপর পড়ে আছে তার মরদেহ।
মিরনের ভগ্নিপতি অভিজিৎ দাশ বলেন, মিরন কখনো নেশা করেননি। অসুস্থও ছিলেন না। এভাবে তার মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেন ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল।
এর আগে শনিবার বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদের লুৎফর রহমান সড়ক সংলগ্ন আবাসিক হোটেল শরিফের একটি কক্ষ থেকে বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা থেকে বরিশালে এসে আল আমিন তার ওই হোটেলে ওঠেন।
সেখানে গলায় ফাঁস দিয়ে আল আমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান স্ত্রী ইসরাত জাহান মীম। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে থানায় নেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি কমলেশ হালদার।
মেহেদী হাসান/এএম