কুমিল্লায় একটি শিশুকে ইফতার না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে তিনজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং দুইজন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় দেবিদ্বার উপজেলার দক্ষিণ ভিংলা বাড়ি বাইতুল আমান জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর। 

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ ভিংলা বাড়ি বাইতুল আমান জামে মসজিদে রমজানের প্রথম দিন থেকে স্থানীয় একেকজন একেক দিন ইফতারের আয়োজন করেন। প্রতিদিনকার মতো সোমবারও ইফতারের আয়োজন করা হয়। এ সময় বাবু নামের এক শিশুকে ইফতার না দেওয়ায় প্রতিবাদ করলে শহীদ মিয়ার ছেলে হাবীবুল্লার সঙ্গে আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহ আলমের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম নামাজের পর বিষয়টি নিয়ে বসার আশ্বাস দেন। 

নামাজ শেষ করে শাহ আলম মসজিদের বাইরে অপেক্ষারত অবস্থায় ছিলেন। এ সময় শহীদ মিয়ার ছেলে হাবীবুল্লাহ ফার্নিচার দোকান থেকে একটি কাঠের টুকরো এনে শাহ আলমকে আঘাত করে। এতে শাহ আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আবু তাহেরের ছেলে সম্রাট এগিয়ে আসেও তিনিও আঘাতরাপ্ত হন। এসময় তাদের উদ্ধার করতে এলে হাসান এবং সাজু নামের আরও দুজন আহত হন। পরে হামলাকারী হাবীব উল্লাহ পালিয়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। 

খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান দেবিদ্বার প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক, দৈনিক আমাদের সময়ের দেবিদ্বার প্রতিনিধি শাহীন আলম। এসময় আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের ছেলে এবং দেবিদ্বার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেমের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। এতে নতুন আগের আহত ৪ জনকে নতুন করে পেটানো হয়। সাংবাদিক শাহীন আলমকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর আহতদের মধ্যেও শাহ আলম, সম্রাটকেও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকি দুজনকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

ওসি কমল কৃষ্ণ ধর ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনার পর ১০ জন পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমি আহত সাংবাদিক শাহীনকে দেখতে হাসপাতলে এসেছি। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

আরিফ আজগর/আরকে