ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, ওসি ক্লোজড
ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় রংপুরের পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে থানা থেকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।
রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতেখায়ের আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ভিডিওতে টাকা লেনদেনের বিষয়েটি দেখা গেছে। সোমবার বিকেলে তাকে পীরগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করে রংপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ থানায় যোগদানের পর ওসি জাকির হোসনের বিরুদ্ধে নদী, খাল-বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিভিন্ন স্থানে জুয়া পরিচালনায় সহযোগিতা, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের মাসোয়ারা নেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও গ্রেপ্তার বাণিজ্য, থানায় ধরে এনে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ লিখিতভাবে আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দিয়েছে এলাকাবাসী।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক বালু ব্যবসায়ীর কাছে ঘুষ হিসেবে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। তবে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, কিছু দিন আগে বালু ব্যবসায়ীদের দুটি পক্ষের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় আমার কাছে আসলে আমি তাদেরকে নিয়ে সমাধানের জন্য বসেছিলাম। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে টাকার লেনদেন হয়েছে। সেখানে তারা নিজেদের সমস্যা নিরসন করে। ওইদিন তাদের কেউ আমাকে ব্ল্যাকমেইলের উদ্দেশ্যে এ ধরনের ভিডিও ধারণ করেছে। প্রকৃত পক্ষে সেখানে আমার সঙ্গে কারো কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন হয়নি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত অফিশিয়ালি কোনো চিঠিপত্র দিয়ে তাকে ক্লোজড করা হয়নি বলেও দাবি করেন ওসি জাকির হোসেন।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ইফতেখায়ের আলম জানান, প্রাথমিকভাবে অর্থ লেনদেনের সত্যতা পাওয়ায় পীরগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর