সিলেট বন বিভাগের আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বন বিটের সুনারায় বাঁশ বাগানের হামহাম জলপ্রপাতের সড়কের পাশে বাঁশ বনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

এ আগুনে বনের সরু সড়কের পাশের বাঁশ বাগানসহ প্রায় তিন একর এলাকার বিভিন্ন ধরনের গুল্মলতা ও উদ্ভিদ পুড়ে গেছে। 

এ ঘটনায় বুধবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিলেট বন বিভাগ। সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, রেঞ্জ অফিসারকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে সিলেট বন বিভাগ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো পর্যটক সিগারেট খেয়ে শুকনো পাতার মধ্যে ফেলে দিলে সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে। আগুন লাগার সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

হামহাম জলপ্রপাত ঘুরতে যাওয়া পর্যটক সালিক মিয়া জানান, হামহাম যাওয়া-আসার পথে বনের প্রচুর জায়গা জুড়ে আগুন লেগেছে। আগুনের প্রচুর উত্তাপ ছিল। রাস্তা দিয়ে আসা যাচ্ছিল না। আগুন নেভানোর পর সন্ধ্যার পরে বন থেকে বেরিয়ে আসি।  

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, বন বিভাগের কর্মকর্তারা আগুন লাগার সাথে জড়িত।  

কুরমা বন বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন বলেন, আগুনের খবর পেয়ে বন কর্মী ও স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। আগুনে লেলিহান শিখায় বনের প্রায় দুই/আড়াই একর এলাকার লতাগুল্ম জাতীয় গাছ ঝলসে গেছে। সিগারেট থেকে এ আগুন লাগতে পারে বলে ধারণা তার।  

মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক মারুফ হোসেন বলেন, আমরা কমলগঞ্জ থানায় জিডি করেছি। সেখানে উল্লেখ করেছি, আগুনে প্রায় ২.৩৪ একর বাঁশমহাল পুড়ে গেছে।  

কমলগঞ্জ বন রেঞ্জ কর্মকর্তা তৈহিদুল ইসলাম বাঁশ বনে আগুন লাগার কথা স্বীকার করে বলেন, আগুনে বনের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।  

উল্লেখ্য, এর আগেও মৌলভীবাজারে বড়লেখার লাটিটিলা বিট, কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া বনে আগুন লাগে। গত ১৫ মার্চ রাজকান্দি বনের সাঙ্গাইসাফি, কাঁঠালকান্দি ও বাঘাছড়া এলাকার তিনটি টিলাভূমি আগুনে পুড়ে যায়। 

ওমর ফারুক নাঈম/এনএফ