কোম্পানীগঞ্জ আ.লীগ নেতা বাদলের জামিন
মিজানুর রহমান বাদল
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তিন মামলায় জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর বিচারিক আদালতের ভারপ্রাপ্ত হাকিম নবনীতা গুহ শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে তিন মামলায় মিজানুর রহমান বাদলের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে সকাল ১১টার দিকে বাদলকে জামিন দেন।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী আরও জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় গত ১১ মার্চ মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের দায়ের করা দুটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি মোট তিনটি মামলায় জেলা কারাগারে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২ মাস ধরে বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে জেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধের জেরে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে পৃথক পৃথক এলাকায় দুইবার সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
১৯ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে চাপরাশিরহাটে প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা ৪৪ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পরে ৯ মার্চ বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন।
সমাবেশ চলাকালে কাদের মির্জার অনুসারীরা জেলা আওয়ামী লীগের বরাত দিয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের পরেও কেন তা হচ্ছে?— এ নিয়ে তারা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে ওইদিন রাত ১০টায় বাদলের অনুসারীরা বসুরহাট পৌর ভবনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় ১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ ব্যক্তি আহত হন। এদের মধ্যে সিএনজি অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ১১ মার্চ বিকেলে মিজানুর রহমান বাদলকে আটক করা হয়।
হাসিব আল আমল/এমএসআর