‘আমি এক্করে নিঃস্ব হইয়া গেছি গা ভাই, আমার আর কিছু নাই’
‘আমি এক্করে নিঃস্ব হইয়া গেলাম গা ভাই, আমার আর কোনো কিছু নাই। আমি আর কোনো কিছু করতারতাম না ভাই, আমার জীবন শেষ। অনেক কষ্ট কইরা ধার দেনা কইরা এ দোকান দিছি, এ আগুন আমারে এক্করে নিঃস্ব কইরা দিয়া গেল, আমার আর কোনো কিছু বাকি নাই’— এই বলে কান্নায় ভেঙে পরলেন সাপমারা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মনির হোসেন।
বুধবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৯টায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের সাপমারা বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে দুই ব্যবসায়ীর প্রায় ১৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বিজ্ঞাপন
মনির হোসেন আরও বলেন, সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান চালিয়ে বাসায় গিয়েছি। পরে আমার সামনের দোকানদার আমিনুল ভাই আমাকে কল দিয়ে বলে আমার দোকানে আগুন লেগেছে।আমি আইসা দেখি আমার দোকানে কোনো কিছু নাই। সব পুইড়া ছাই হয়ে গেছে। এটা দিয়ে আমি জীবিকা নির্বাহ করতাম ভাই, আমার সংসার এটা দিয়াই চালত। আমার আর কিছু নাই ভাই।
আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া দোকান দুটি হলো, মানিক মিয়ার ছেলে মনির হোসেনের মাহফুজ ভ্যারাইটিজ স্টোর এবং সাত্তার মিয়ার ছেলে মনির মিয়ার বায়েজিদ জেনারেল স্টোর।
বিজ্ঞাপন
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, রাত ৯টায় প্রতিদিনের মত তারা দোকানে বেচাকেনা করে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনির হোসেনের বায়েজিদ জেনারেল স্টোর ও মানিক মিয়ার সোলাইমান কনফেকশনারি স্টোরে স্থানীয়রা আগুন দেখতে পায়। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এসময় আগুনের লেলিহান শিখায় দুইটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে ছিদ্দিক মিয়া নামে একজন আহত হয়েছে। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রায়পুরা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ ফারুক আহমেদ বলেন, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে বাজারে আগুন লাগার খবর পাই। পরে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি স্থানীয়রাই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। আগুনে দুইটি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ তদন্তের পর বলা যাবে।
তন্ময় সাহা/আরকে