বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবার তাকে হত্যার করে নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হবে বলে অভিযোগ এনেছেন। এ নিয়ে বুধবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

আবদুল কাদের মির্জা ফেসবুকে লিখেছেন, বিশ্বস্ত সূত্রে  খবর পাওয়া গেছে আমাকে হত্যার করে তারা এই নীল নকশা বাস্তবায়ন করবে। গত ২১-০৩-২০২১ তারিখ নোয়াখালী জেলহাজতে কারাবন্দি মিজানুর রহমান বাদলের সঙ্গে একরামুল করিম চৌধুরী ও জেহান দেখা করে একটা নতুন ছক তৈরি করেছে। নোয়াখালী-৫ আসনে শিউলি একরামকে এমপি করবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন সাহেব পদত্যাগ করে মিজানুর রহমান বাদলকে চেয়ারম্যান করবে। কবিরহাট উপজেলায় সাবাব চৌধুরীরকে উপজেলার চেয়ারম্যান করা হবে। কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রায়হান বুঝিয়েছে সে মন্ত্রীর লোক কিন্তু আসলে সে একরামুল করিম চৌধুরীর লোক তাই রায়হান কবিরহাট পৌরসভার মেয়র থাকবে এবং বসুরহাট পৌরসভায় আমাকে হত্যা করে ফখরুল ইসলাম রাহাতকে বসুরহাট পৌর মেয়র করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রীর স্ত্রী ও নিজাম হাজারীর সঙ্গে ফোন আলাপ করে তারা সিদ্ধান্ত করে। এটাই হচ্ছে তাদের নতুন ছক।

 কাদের মির্জা ফেসবুক পোস্ট

কাদের মির্জার এই ফেসবুক পোস্টে মো. রিয়াদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলবো আমি আবদুল কাদের মির্জার আদর্শে আদর্শিত।

কাশেম আবুল নামে একজন মন্তব্য করেছেন, আমার মনে হয় কাহিনী আমাদের ফেনীর ফুলগাজীর মরহুম একরাম ভাইয়ের মতন হতে পারে। দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করবে।

সাইফুল্লা আলমগীর নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ঘটনা হাছানি। আপনিও ভুল থেকে শিক্ষা নেন। আশা করি ভবিষ্যৎ আপনাকে হাতছানি দিচ্ছে। সবার সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করেন সে শত্রু বা বন্ধু যেই হোক না কেন। যুদ্ধের ময়দানে মাঝে মাঝে পিছে হঠা মানে যুদ্ধে হেরে যাওয়া নয়। যেসব ভুল করেছেন সেগুলো আইডেন্টিফাই করেন। ভুলগুলো দিন দিন হ্রাস করেন। শত্রুর সংখ্যা কমিয়ে আনেন। কারো বিরুদ্ধে ওপেন কথা বললে সে আপনার শত্রু হবেই। তাই একটু কৌশলী হন। ওবায়দুল কাদের এবং অন্যান্য নেতাদের খোলা সমালোচনা বন্ধ করুন। ধন্যবাদ। 

এর আগে দুপরে ফেসবুক লাইভে এসে বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবদুল কাদের মির্জা। তিনি প্রায় ৩০ মিনিট লাইভে বক্তব্য দেন। তবে কিছুক্ষণ পর ফেসবুক থেকে ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়া হয়। 

হাসিব আল আমিন/আরএআর