প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়া হয়

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জেগে ওঠা যমুনা নদীর চর থেকে বালু তুলে অবৈধভাবে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা। উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সিরাজকান্দি থেকে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে ঘাট বানিয়ে ট্রাকযোগে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করা হয়। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে স্থানীয় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীতে জেগে ওঠা চর কেটে মাটি বিক্রি করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়া হয়। কুকাদাইর ও জিগাতলা গ্রামের লোকজন ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। অনেকের জমির মাটি জোর করে কেটে নিয়ে বিক্রি করা হয়। বালুবাহী ট্রাক চলাচলের জন্য গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়।

যমুনা নদীর চর থেকে বালু তুলে অবৈধভাবে বিক্রি করছেন প্রভাবশালীরা

জিগাতলা কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা জানান, বালুবাহী ট্রাক গ্রামের ভেতরের রাস্তা দিয়ে ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কে ওঠে। ট্রাকের ধুলাবালুর কারণে মসজিদে নামাজ পড়া কষ্টকর। বেপরোয়াভাবে ট্রাক চলাচল করায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, যারা যমুনার চর কেটে মাটি বিক্রি করছেন তাদের দমাতে পারছে না প্রশাসন। একদিন অভিযানে বন্ধ হলেও পরদিন থেকে আবার মাটি বিক্রি শুরু হয়।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান বলেন, অবৈধভাবে চর কাটা ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।

অভিজিৎ ঘোষ/এএম