সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পাঙ্গাসী শাখায় বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ টাকার উপরে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণে গ্রাহক কপিতে রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগানোর কথা থাকলেও কিছু কিছু বিলে তা লাগানো হচ্ছে না এই শাখায়। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

তবে এটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বলছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করা ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মচারীকে দুষছেন শাখা ব্যবস্থাপক।

ব্যাংকের পাঙ্গাসী শাখায় দেওয়া একটি বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহক কপি এসে পৌঁছায় এই প্রতিবেদকের হাতে। সেখানে দেখা যায়, ৬৭৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করলেও সেখানে কোনো রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগানো হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণকারী ব্যাংকের অস্থায়ী কর্মচারী আব্দুল নূর বিদ্যুৎ বিলটি নেওয়া কথা স্বীকার করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুল করে এমনটা হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের পাঙ্গাসী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, যে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করেন তাকে নির্দেশনা দেওয়া আছে ৫০০ টাকার উপরে বিদুৎ বিল গ্রহণে অবশ্যই রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগাতে হবে। স্ট্যাম্প না থাকলে গ্রাহক ফেরত দিতে হবে। তারপরও যদি সে রেভিনিউ স্ট্যাম্প না লাগিয়ে থাকে তবে এই দায়ভার তাকেই নিতে হবে।

অস্থায়ী কর্মচারী দিয়ে ব্যাংকের কাজ করানো ও বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ব্যাংকে জনবল সংকটের কারণে অস্থায়ী লোক দিয়ে কাজ করানো হয়।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ডেপুটি মহাব্যবস্থাপক মো. জালাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমি জানি। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন আমি ওই শাখাতেই ছিলাম। রেভিনিউ স্ট্যাম্প শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এমনটি হয়েছে। গ্রাহকের হয়রানির কথা বিবেচনা করে এভাবে কয়েকটি বিল নেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য তাদেরডেকে রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আগামীতে আরও সচেতন থাকতে বলা হবে।

শুভ কুমার ঘোষ/এবিএস