দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় ৯ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। 

শনিবার (৩ জুন) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মো. মিজানুর রহমান মিল্টন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক একেএম মোশফেকুল সালেহিন পাইলট, সাবেক মহিলা দল নেত্রী ও কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর আমানুল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সাজ্জাত হোসেন তোতন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাজী ফজলুল কবীর টিটো, খুলনা মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর এবং ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ও কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন। 

বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়, ‘আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য গত ১ জুন কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেননি- যা গুরুতর অসদাচরণ। নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’ 

দলীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাকে অবজ্ঞা ও ঔদ্ধত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। 

উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। 

মোহাম্মদ মিলন/ওএফ