সামনে ঈদুল আজহা। প্রতি বছরের মতো এবারও ঠাকুরগাঁওয়ের খামারি ও কৃষকরা কোরবানি উপলক্ষ্যে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। অবৈধ পথে ভারত থেকে গরু আমদানি না হলে লাভবান হওয়ার আশা তাদের।

শনিবার (৩ জুন) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চন্ডিপুর, গড়েয়া মিলনপুর, সালান্দর আখানগর ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামারে গবাদিপশু পালন করছেন। আর এ থেকে ৬৯ হাজার পশু উৎপাদিত হবে, যা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত।

খামারি শামীম মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অনেক দিন থেকে খামার করে আসছি। এ বছর ভালো করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার খামারে এখন ১১টি দেশি গরু রয়েছে। গরুগুলোকে প্রাকৃতিক সব খাবার খাওয়াচ্ছি।

অনন্যা ফার্মের স্বত্বাধিকারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চার মাস আগে মোটাতাজা করার জন্য তিনটি গরু কিনেছি। একেকটি গরু প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে কেনা। ঈদের আগে শেষ মুহূর্তে গরু মোটাতাজা করছি। ভারতীয় গরু না এলে আমরা একটু লাভবান হতে পারব। সরকারের কাছে আবেদন, ঈদের আগে যেন ভারতীয় গরু বাংলাদেশে না ঢুকে।

আরেক খামারি সোহেল মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ এলাকায় বেশিরভাগ খামারি দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈল ও ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে গরুতে লাভ কিছুটা কমে গেছে। গত বছর চারটি গরু বিক্রি করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর কোরবানি উপলক্ষ্যে সাতটি গরু পালন করছি। আশা করি এবারও ভালো দাম পাব।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৪ হাজার ৩১৭ জন পারিবারিক ও বাণিজ্যিকভাবে খামার পরিচালনা করছেন। এই খামারগুলোকে আমরা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এমজেইউ