ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) কিনে প্রাইভেট কার জিতেছেন নারায়ণগঞ্জের মাসুদ করিম। এসি কিনে পুরস্কার হিসেবে নতুন গাড়ি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা মাসুদ ও তার পরিবার। সদ্য অস্ত্রোপচার হওয়া মাসুদ হুইল চেয়ারে এসে তার নতুন গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

সোমবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে গাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। ওয়ালটনের পক্ষে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার চিত্রনায়ক আমিন খান।

এর আগে গত ৩১ মে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কের ওয়ালটন মেলা শোরুম থেকে নগদ টাকায় একটি এসি কেনেন সদ্য স্নায়ুতন্ত্রে অস্ত্রোপচার হওয়া ব্যবসায়ী মাসুদ করিম। পণ্য ক্রয়ের পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের কিছু সময় পর তাকে ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয়-  তিনি একটি গাড়ি জিতেছেন। মাসুদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার খানপুরের লাল মসজিদ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের ভেতর ‘সিজন-১৮’ এর আওতায় এসি কিনে সর্বোচ্চ মূল্যের প্রাইভেট কার উপহার জিতেছেন মাসুদ করিম। যদিও তিনি পুরস্কারের বিষয়ে তেমন কিছুই জানতেন না। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি পেতে কেনা এসি তার বাড়িতে প্রতিস্থাপনের সময় তাকে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ গাড়ি জেতার বিষয়টি অবগত করেন।

গাড়ি জেতার অনুভূতি জানতে চাইলে মাসুদ করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ব্রেনে (স্নায়ুতন্ত্র) অপারেশনের পর থেকে আমি গরম সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই ওয়ালটন মেলাকে অনুরোধ করি তারা যেন আমার বাড়িতে একটি এসি ইনস্টল করে দেন। আমার চাহিদার প্রেক্ষিতে বাসায় এসি স্থাপন করতে ওয়ালটন থেকে লোক আসে। এরই মধ্যে আমার মুঠোফোনে একটি বার্তা অসে, আমি গাড়ি জিতেছি। আসলে এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে আমি এসি কিনে গাড়ি জিতবো। স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবিনি নিজের এমন গাড়ি হবে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। 

গাড়ি হস্তান্তর শেষে ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আমিন খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে যিনি পুরস্কারটি পেলেন তিনি আসলে জানতেন না যে তিনি পুরস্কারটি জিতেছেন। আজকে তিনি পুরস্কারটি পেয়ে যতটা খুশি তার চেয়ে আমরা বেশি খুশি যে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দিতে পেরেছি। এটি আমাদের দ্বিতীয়তম উপহার তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠান। পুরস্কার মুখ্য বিষয় নয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, সবাই দেশীয় পণ্য কিনবেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমাদের দেশের পণ্য আন্তর্জাতিক মানের, তাই আমাদের পণ্য বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ওয়ালটন হাই-টেক পিএলসি) গোলাম মোর্শেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মনিরুল হক, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. এমদাদুল হক সরকার,ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজ, ওয়ালটন নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চের স্বত্বাধিকারী সঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখ।

আবির শিকদার/আরএআর