শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসাছাত্রদের বিক্ষোভের পর এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলা শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় শহরে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ মাদরাসাছাত্ররা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর শহরের কাউতলি এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় আশিক (২০) নামে এক যুবক আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত আশিক জেলা সদরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে। এ বিক্ষোভের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এদিকে জেলা সদরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। প্রতি প্লাটুনে ২০ জন করে বিজিবি সদস্য রয়েছেন।

২৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা প্রশাসকের চাহিদার প্রেক্ষিতে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিজিবি সদস্যরা মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর