রাজশাহীর কাটাখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৮ মাইক্রোবাস আরোহীর প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন দফতর এ সহায়তা দিচ্ছে।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল হক শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত ১৮ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর টাকা নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তরপ্রক্রিয়া শেষ হলেই এই অর্থ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

আমিনুল হক বলেন, দুর্ঘটনায় একজন বেঁচে আছেন, তার চিকিৎসায় এবং বাকি ১৭ জনের মরদেহ দাফনে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেলা পৌনে দুইটার দিকে নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার পর আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছয়জন মারা যান। পরে পোড়া মাইক্রোবাস থেকে নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। তারা সবাই মাইক্রোবাসটির আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া পাভেল (১৯) নামের এক মাইক্রোবাস আরোহী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় তার বাবা ও মা প্রাণ হারিয়েছেন।

এ ঘটনায় রাতেই নগরীর কাটাখালী থানায় হানিফ পরিবহনের চালককে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। পলাতক চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এনএ